প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বেতন ১০ম গ্রেড কার্যকর সংক্রান্ত আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত

বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ আইনি মতামত প্রকাশ করেছে, যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের একটি দাবিকে সমর্থন করে। এই মতামতটি হাইকোর্টের একটি রিট পিটিশনের (নং ০২২৪/২০১৮) রায়ের সাথে সম্পর্কিত, যেখানে ৮২ জন প্রধান শিক্ষকের গ্রেড-এক্স-এর সুবিধা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছিল।

মামলার পটভূমি

২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, হাইকোর্ট ডিভিশন একটি যুগান্তকারী রায় প্রদান করে। রায়ে বলা হয় যে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮২ জন প্রধান শিক্ষককে ৪ বছর এবং ৮ বছর পর টাইম স্কেল এবং ১২ বছর পর সিলেকশন গ্রেড সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। আদালত সুস্পষ্টভাবে জানায় যে, এই সুবিধাগুলো পাওয়ার জন্য তারা যোগ্য এবং এ থেকে তাদের বঞ্চিত করা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি

হাইকোর্টের এই রায়ের প্রেক্ষিতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে একটি আনুষ্ঠানিক মতামত প্রদান করে। এই মতামতে মন্ত্রণালয় হাইকোর্টের রায়ের সঙ্গে একমত পোষণ করে। তারা উল্লেখ করে, যেহেতু শিক্ষকদের তাদের প্রাপ্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না এবং পূর্ববর্তী কোনো আইন বা আদেশ দ্বারা তা পরিবর্তন করা যায় না, তাই হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী তাদের দাবি যুক্তিসঙ্গত।

সিদ্ধান্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপ

মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হবে যেন তারা দ্রুত এই শিক্ষকদের গ্রেড-এক্স প্রদান করে এবং তাদের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশ করে। এটি শুধুমাত্র তাদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করবে না, বরং দীর্ঘদিনের আইনি লড়াইয়েরও একটি ইতিবাচক সমাপ্তি ঘটাবে। এই পদক্ষেপটি শিক্ষক সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং শিক্ষকদের অধিকার রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

বিস্তারিত তথ্য দেখুন: নিচের অর্ডারটিতে

Leave a Comment